কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক এএইচএম মাহমুদুর রহমান বুধবার এ আদেশ দেন।
আসামি জাফর আলম (৫৫) কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জাফরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পাশাপাশি তার স্ত্রী শাহেদা জাফর এবং শাহেদার বোন মালেকা বেগমের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন বিচারক।
এ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নুরুল ইসলাম বলেন,চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট রিংভং দক্ষিণ পাহাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা আজাদী ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি তিন জনকে আসামি করে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে এই মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি জাফর আলম তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে সঙ্গে নিয়ে ওই স্কুলে যান এবং ক্লাস থেকে ছাত্রছাত্রীদের বের করে দিয়ে প্রধান শিক্ষিকা হুমায়রা আজাদীর ওপর চড়াও হন।
মামলা হওয়ার পর আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। তদন্ত শেষে গত বছর ৩০ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দেন জেলা প্রশাসক।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, তদন্তে নিরপেক্ষতা লংঘন হয়েছে অভিযোগ করে বাদী ২০১৭ সালের ২২ মে ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে নারাজি দেন। আদালত তখন পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়।
বুধবার পুনঃতদন্তের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হলে বিচারক প্রধান আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বাকি দুই আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন বলে জানান রহমান।