টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাকিব হাসান তরফদার জানান, উপজেলার পাটগাতী বাজার থেকে থেকে মঙ্গলবার সকালে এ চাল জব্দ করা হয়।
নাকিব বলেন, টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদাম থেকে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির ১৩ মেট্রিক টন চাল কালোবাজারী কালু শেখ ও বিভাষ হাজরা কাছে বিক্রি করা হয়। পরে ওই চাল নছিমন ও ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয় পাটগাতী বাজারে।
গোপন খবর পেয়ে পাটগাতী বাজারে অভিযান চালিয়ে ২৬০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন আকন্দ বলেন,“কাজের বিনিময়ের খাদ্য কর্মসূচির চালের বরাদ্দ জুনে শেষে হয়েছে। এ চালের কোন স্টক গুদামে রয়েছে বলে গুদাম কর্মকর্তা আমাকে অবহিত করেননি।
“যদি কোন চাল গুদাম থেকে সরবরাহ করতে বাকি থাকে সেগুলো গুদামের প্যসেজে রাখতে হয়।কিন্তু এ চালগুলো সরাসরি গুদামের স্টক থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা রাশিদা খনম বলেন, জুন মাসেই এ চালের ডিও (সরবরাহ চালান) জমা দেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তারা তখন গুদাম থেকে চাল সরবরাহ নেননি; এরপর বারবার তাদের চাল নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়।
“তারা চাল না নেওয়ায় গুদাম থেকে চাল বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে চাল নেওয়ার সময় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে চাল জব্দ করিয়েছে।”