এছাড়া ঘাট সংলগ্ন বাজার, দুইটি ট্রলি, একটি মাহেন্দ্র জিপ ও একটি পল্টুন নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
তবে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন পাঁচজন নিখোঁজের কথা স্বীকার করেন।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, পাঁচজন নিখোঁজ হয়েছেন; তবে এ সংখ্যা বাড়তে পারে।
নড়িয়ার ওসি আসলাম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে নড়িয়ার সাধুরবাজার লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকার বাড়িঘর ও লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে এবং নদীর তীরবর্তী স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সানজিদা ইয়াসমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ডুবে যাওয়া ৪০ জনের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন হৃদয় হাওলাদার, ইব্রাহীম গাজী, আকাশ, বাবু, আজাদ চৌকিদার, মোহাম্মদ আলী ঢালী, রাজ্জাক ছৌয়াল, মনজু ভুইয়া, নান্নু বেপারী, ছাদেম হাওলাদার, ঈমাম কোটারী ও আবদুল হাই বক্স।
চেয়ারম্যান ঈমাম হোসেন নিখোজ নয়জনের নাম বলেছেন।
এরা হলেন মোশারফ চৌকিদার, মজু ছৌয়াল, নাছির হাওলাদার, নাছির করাতি, শেখ আলামিন, অন্ত মকদম, রশিদ হাওলাদার, গুপি দাস ও হৃদয়।
সাধুরবাজার লঞ্চঘাট এলাকার জসিম হাওলাদার বলেন, “দুপুরে হঠাৎ পদ্মার ভাঙন বেড়ে যায়। এর সঙ্গে দোকান ঘরগুলো কেঁপে ওঠে। মুহূর্তেই দোকান ঘরসহ পানিতে তলিয়ে যাই আমি। পরে পানির উপরে ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।”
দুর্ঘটনার সময় সেখানে প্রায় ৩৫ জন লোক ছিল, ৩/৪টি মোটরসাইকেল, দুইটি ট্রলি ছিল বলে জানান জসিম।
নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশসহ স্থানীয়রা চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।
নড়িয়ার ইউএনও সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, “হঠাৎ পদ্মা নদীর ভাঙনে সাধুর বাজার লঞ্চঘাটটি কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও লোকজন নিয়ে তলিয়ে যায়। এ সময় ১৭ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও ৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”