কুমিল্লা সিটির দুই কাউন্সিলর কারাগারে

বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দুই কাউন্সিলরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2018, 04:07 PM
Updated : 6 August 2018, 04:07 PM

সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম জয়নাব বেগম এ আদেশ দেন।

এর আগে ওই মামলায় তাদেরকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই সহিদুল ইসলাম।

রোববার রাতে ১ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত গোলাম কিবরিয়া এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর সিদ্দিকুর রহমান সুরুজকে আটক করা হয়।

তাদের আটকের পর দুটি মামলা হয়েছে। কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে এবং সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

এসআই সহিদুল বলেন, আদালত মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন রেখে উভয় কাউন্সিলরকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অভিযোগ করা হয়, কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ শীর্ষক চলমান ছাত্র আন্দোলনকে বেগমান, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নসহ সরকারের পতন ঘটানোর উদ্দেশ্যে নাশকতামুলক কর্মকাণ্ড করতে রোববার বিকালে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিদ্দিকুর রহমান সুরুজের সদর দক্ষিণ উপজেলার উনাইসার এলাকার বাড়িতে গোপন বৈঠক করছিলেন।

মামলার বাদী এসআই শাহ কামাল আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালালে কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হন এবং কাউন্সিলর সুরুজ ধরা পড়েন।  

তিনি জানান, সুরুজের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওই গোপন বৈঠকের নেতৃত্বদাতা ও ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া গোলাম কিবরিয়াকে রাত ৮টার দিকে কুমিল্লা-বুড়িচং সড়কের পালপাড়া ব্রিজের কাছ থেকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি দেশে তৈরি একটি এলজি উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নামে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়ার নামে অস্ত্র আইনে কোতোয়ালি থানায় এবং অপর কাউন্সিলর সুরুজসহ তার বাড়িতে গোপন বৈঠকে উপস্থিত থাকার অভিযোগে ওই দুই কাউন্সিলরসহ ১৪ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৬/৭ জনকে আসামি করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই সহিদুল ইসলাম বলেন, “কাউন্সিলর কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র-বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ১৩টি মামলা রয়েছে। নাশকতার পরিকল্পনা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আদালতে উভয় কাউন্সিলরকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে।”