শনিবার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কোহিনুর হোসেন (৩৬) লতাবর গ্রামের তসলিম হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকার পোশাক শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন কোহিনুরের বাবা তসলিম হোসেন, মা কুলসুম বেগম ও ভগ্নিপতি জিল্লুর হোসেন। তাদেরকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মকবুল হোসেন জানান, কোহিনুরের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা নিয়ে তার চাচা জোবেদ আলী ও আনছার আলীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বৈঠক হলেও নিষ্পত্তি হয়নি।
ওসি বলেন, ঢাকা থেকে বাড়ি গিয়ে শনিবার সকালে ওই রাস্তার জন্য চাচাদের নিয়ে আলোচনায় বসলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।
“এতে জোবেদ ও আনছার আলীদের লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই কোহিনুর হোসেনের মৃত্যু হয়।”
ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় জাবেদ আলী (৪৮), মাসুম (২৪), মাজেদা খাতুন (৪৫) ও আইরিন আক্তারকে (২৮) পুলিশ আটক করেছে বলে তিনি জানান।
ওসি মকবুল হোসেন জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।