শুক্রবার সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের বড়চওনা বেলতলি বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত সাদিয়া আক্তার (১৫) ওই এলাকার আজহারুল ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় বড়চওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ পিকআপের চালক ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ বলছে, লাভলু মিয়া (১৫) নিজেকে চালক বলে দাবি করছে। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেনি।
সখীপুর থানার ওসি এসএম তুহিন আলী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কের বেলতলী এলাকায় হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন সাদিয়া।
“এ সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি পিকআপ পিছন দিক থেকে তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা প্রথমে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে যায়।
“সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
এদিকে, সাদিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে এলাকাবাসী সাগরদিঘী-সখীপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী সরকার রাখী, থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে চালকের শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে বাসচাপায় নিহত হন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব।
এ ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী। বিপুল সংখ্যক গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স না থাকার অভিযোগ ছাড়াও বহু কিশোরও গাড়ি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।