সোমবার সকাল থেকে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস ফোরাম, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
এছাড়া খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিন যুবককে আটক করেছে।
গত শনিবার রাতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা নয়মাইল এলাকায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী পুনাতি চাকমা কৃত্তিকাকে (১০) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা অনুমতি ত্রিপুরা বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও মারমা স্টুডেন্টস ফোরামের ছাত্রছাত্রীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভটি শহর প্রদক্ষিণ করে কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি নলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা সজলবরণ সেন, নারী নেত্রী শেফালিকা ত্রিপুরা, নমিতা চাকমা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের সহ-সভাপতি বিপুল ত্রিপুরা।
আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি এমেলি দেওয়ান, প্রধান শিক্ষক সমিতির উপজেলা সভাপতি ধনা চন্দ্র সেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবসার, পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র দে ও ছাত্রনেতা নিয়ং মারমা।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি নলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সুষ্ঠু তদন্ত করে অবিলম্বে ধর্ষকদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আফতাব উদ্দিন জানান, দীঘিনালার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এরা হলেন শাহ আলম (৩৩), নজরুল ইসলাম (৩২) ও মনির হোসেন (৩৮)।
তাদের দিঘীনালা থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান সালাহ উদ্দিন।