নিহত জামিনা বেগম (৫৫) উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের খড়ারচর গ্রামের আবুল বাসেদের স্ত্রী।
এলাকাবাসী জামিনার ছোট ছেলে ২১ বছর বয়সী মো.আবু রায়হান মিয়াকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে ধামরাই থানার এসআই মো. কামাল হোসেন জানান।
জামিনাকে বাঁচাতে গিয়ে আবুল বাসেদ (৬৫) ও তাদের বড় ছেলে রতন মিয়া (৩২) আহত হয়েছেন। তাদের সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.সামসুদ্দিন বলেন, “রায়হান তার মায়ের কাছে নেশার টাকা চেয়ে না পেয়ে সোমবার ভোরের দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে হত্যা করে।
“এ সময় জামিনাকে বাঁচাতে তার স্বামী ও বড় ছেলে এগিয়ে গেলে রায়হান তাদেরও কুপিয়ে জখম করে।”
পরে এলাকাবাসী রায়হানকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে থানায় খবর দেয় বলে সামসুদ্দিন জানান।
এসআই কামাল বলেন, পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় রায়হান মাদ্রাসায় পড়াশুনা শেষ করতে পারেনি। এক পর্যায়ে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। কিছুদিনের মধ্যে সে মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলে।
রোববার রাতে নেশার করার জন্য মায়ের কাছে টাকা চায় রায়হান। না পেয়ে মাকে ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।