ফেনীতে ফাঁদ পেতে অশ্লীল ভিডিও ধারণ, ৪ নারী গ্রেপ্তার

ফেনীতে মেয়েদের দিয়ে ফাঁদ পেতে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে চক্রের কথিত হোতাসহ চার নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

নাজমুল হক শামীম ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2018, 04:58 PM
Updated : 28 July 2018, 04:59 PM

শনিবার শহরের একটি বাড়ি থেকে এক তরুণীকে উদ্ধারের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে তাদের আটাক করে পুলিশ। পরে ওই তরুণীর মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদ খাঁন চৌধুরী বলেন, শহরে দীর্ঘদিন ধরে একটি নারী চক্র কিশোরীদের ব্যবহার করে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।

“তাদের কৌশল ছিল মেয়েদের দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও যুবকদের প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলা এবং পরে বাসায় ডেকে এনে অশ্লীল ছবি ও ফুটেজ ধারণ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া।”

সম্প্রতি ওই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে ১২ লাখ টাকা হারিয়েছেন শহরের এক ব্যবসায়ী।

ওসি বলেন, শুক্রবার রাতে ক্ষতিগ্রস্ত ওই ব্যবসায়ী বাদী হয়ে পর্নগ্রাফি আইনে ওই চক্রের হোতাকে (৪২) আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে শনিবার দুপুরে অভিযান চালায় পুলিশ।

“শহরের রামপুর এলাকার রামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে প্রতারক চক্রের প্রধানকে আটক এবং এক কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।”

এ সময় ওই ঘর থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বেশ কয়েকটি চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়েছে বলে ওসি জানান।

ওই ঘর থেকে উদ্ধার কিশোরীকে ওই নারী সম্প্রতি ফুসলিয়ে গ্রাম থেকে এনে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় নিয়োজিত করেন বলে মেয়েটির ভাষ্য, বলেন ওসি।

শনিবার বিকালে ওই কিশোরী ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

ওসি বলেন, তার জবানবন্দিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সন্ধ্যায় শহরের বনানীপাড়ায় অভিযান চালিয়ে অপর তিন নারীকে আটক করে পুলিশ।

“ওই তিন নারীর মধ্যে একজন মা (৫০) এবং অপর দুজন তার মেয়ে যাদের বয়স ২২ বছর ও ২০ বছর।”

ওসি জানান, আটক চারজনকে উদ্ধার হওয়া কিশোরীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা এবং চক্রের কথিত হোতা নারীকে এক ব্যবসায়ীর পর্নগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

চক্রের অন্যদের আটকের চেষ্টাও চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।