বরগুনা, সাতক্ষীরা, কুমিল্লায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩

দেশের তিন জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবরগুনা, কুমিল্লা ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2018, 03:29 AM
Updated : 28 July 2018, 11:15 AM

কুমিল্লায় নিহত সবুর নামে মাদক মামলা, সাতক্ষীরার রেজাউলের নামে মোটরসাইকেল চুরির মামলা আর বরগুনার কাজলের বিরুদ্ধে দস্যুতার অভিযোগ রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য।

কুমিল্লা ও বরগুনায় তারা নিহত হয়েছেন র‌্যাবের ‘অভিযানে’ আর সাতক্ষীরায় একজন নিহত হয়েছেন গ্রেপ্তারের পর।

বরগুনা

জেলার পাথরঘাটা থানার ওসি মোল্লা মো. খবির উদ্দিন বলেন, “শনিবার ভোরের দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদীর মাঝেরচর এলাকায় র‌্যাব অভিযান চালায়।

“র‌্যাবের সঙ্গে জাহাঙ্গীর বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে জলদস্যু কাজল নিহত হন।”

র‌্যাব ঘটনাস্থল থেকে ‘তিনটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার’ করেছে বলে তিনি জানান। কাজলের ঠিকানা বা ঘটনার বিস্তারিত জানাতে পারেনি পুলিশ।

কুমিল্লা

নিহত সহিদুল ইসলাম সবু (৪৪) জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার একবালিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব ১১-এর কুমিল্লা কোম্পানি কমান্ডার মেজর আতাউর রহমান বলেন, শনিবার ভোরের দিকে মাদক মালার আসামি সবুকে আটকের জন্য সদর উপজেলার কাপ্তানবাজার গোমতী বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব।

“মাদক কারবারিরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। র‌্যাব আত্মরক্ষায় ১০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি চালায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ সবুকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

সবু কুমিল্লার মাদক কারবারি হিসেবে তালিকাভুক্ত জানিয়ে তিনি বলেন, “তার বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ থানায় বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে।”

সাতক্ষীরা

নিহত রেজাউল (৪২) শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামের মাজেদ দফাদারের ছেলে।

শ্যামনগর থানার ওসি মো. ইলিয়াচ হোসেন বলেন, মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের হোতা রেজাউলকে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ঢাকার মিরপুর থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

“শুক্রবার মধ্যরাতে তাকে নিয়ে শ্যামনগরের নূরনগর এলাকায় মোটরসাইকেল উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় তার বাহিনী পুলিশকে লক্ষ করে গুলি করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করে। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে রেজাউল নিহত হন।”

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও একটি গুলি উদ্ধার করেছে বলে জানান ওসি ইলিয়াচ হোসেন।

জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান বলেন, “রেজাউলের বিরুদ্ধে এক ডজনের বেশি মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে। এছাড়া একটি অপহরণ মামলার প্রধান আসামি। গত তিন মাস ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।”