শালিখা থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলা

ঘুষ আদায় ও মাদক ব্যবসায়ে সহায়তার অভিযোগে মাগুরার শালিখা থানার ওসি রবিউল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2018, 02:40 PM
Updated : 25 July 2018, 02:40 PM

বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শালিখা উপজেলার শাবলাট গ্রামের মৃত বিশারত মোল্লার ছেলে মহব্বত হোসেন।

আদালত মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী শেখ গোলাম নবী শাহিন বলেন, এ বছরের ৩১ মার্চ শালিখা উপজেলার শাবলাট গ্রামের কামরুল মোল্যার বাড়িতে টেকনাফের জামাল হোসেনসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল সংখ্যক ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে অবস্থান করছিল বলে তার বাদী মহব্বত হোসেন জানতে পারেন।

“সচেতন নাগরিক হিসেবে মহব্বত হোসেন বিষয়টি শালিখা থানাকে জানালে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিন আসামিকে আটক করে।”

শাহিন বলেন, পরে ওসি রবিউল হোসেন আসামিদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে ২০ হাজারের পরিবর্তে ২২০টি ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে আসামিদের আদালতে চালান দেন এবং বাকি ইয়াবা রেখে দেন।

“ওই মামলায় ইয়াবার সন্ধানদাতা মহব্বত হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।”  

মামলায় অভিযোগ করা হয়, পরবর্তীতে মহব্বত হোসেনকে ওসি রবিউল হোসেন বলেন তাকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিলে চূড়ান্ত চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে। মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে মহববত হোসেন ১৪ মে ওসি রবিউল হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা  উৎকোচ দেন।

কিন্তু টাকা গ্রহণের পরও ওসি রবিউল হোসেন অভিযোগপত্রে তাকে আসামি করেন বলে মামলায় দাবি করা হয়।

ওসি রবিউল হোসেন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করে আসছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।

বাদীর আইনজীবী গোলাম নবী বলেন, এ ঘটনা উল্লেখ করে তার বাদী দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। 

ইয়াবা উদ্ধারের দিন পরিচালিত অভিযানে ওসি রবিউল হোসেন ছিলেন না বলে তোর ভাষ্য।  

তিনি বলেন, “মহব্বত একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে থানায় আটটি মাদকের মামলা আছে। এই মামলা থেকে বাঁচতে সে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছে।”