নেত্রকোণা জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম রাশেদুর জামান রাজা মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তাহের (৩২), ধীরাই উপজেলার টংগর গ্রামের মো.মোস্তফা মিয়ার ছেলে কাউছার আহম্মদ (৩৭) ও নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার আমানীপুর গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে মো.উসমান গণি (৩৯)।
যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- শাল্লা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের শহীদ মিয়া, খলিল, রুইক্যা ওরফে রহিম, বল্লভপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে জ্যোতি, দৌলতপুর গ্রামের মহিবুর, চিকাডুবি গ্রামের রমজান মিয়া, কাইল্ল্যা, শফিক, রইছ আলী, মনু মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, কামারগাঁও গ্রামের সিদ্দিক মিয়া, দিদার জিয়াউল হক, উজানগাঁও গ্রামের শাহজাহান, হীরা, আক্কাছ ও দাউদপুর গ্রামের শুক্কুর ও নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার আমানীপুর গ্রামের কবীর।
যাবজ্জীবন পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে পাঁচজন রায় ঘোষণার কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল আলম প্রদীপ জানান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে ৪ সেপ্টেম্বর রাতে খালিয়াজুড়ি উপজেলার আদমপুর গোয়ালবাড়ি গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতরা হামলা চালায়।
গ্রামবাসী টের পেয়ে ডাকাতদের ঘেরাও করলে ডাকাতরা গুলি করে। তখন স্থানীয় মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে চয়ন সরকার ডাকাতদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
মনোরঞ্জন ওই রাতেই হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ জানুযারি ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
তাদের মধ্যে একজন বিচার চলাকালে মারা গেলে তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয় বলে জানান পিপি প্রদীপ ।