সাংবাদিককে হত্যার হুমকির অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে

শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক সাংবাদিক।

সোমবার পালং মডেল থানায় দৈনিক যায়যায়দিন ও চ্যানেল ২৪ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কাজী নজরুল ইসলাম একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

নজরুলের অভিযোগ, “উনি আমার সহকর্মী বি এম ইশ্রাফিলকে ডেকে নিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এরপর আমি ইউএনওর কাছে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আমার পরিচয় শুনেই অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন।”

এ সময় ইউএনও তাকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দেন বলে নজরুল জিডিতে বলেন।

নজরুল পরে বিষয়টি শরীয়তপুর পুলিশ সুপার, সহকর্মী ও অফিসে জানান।

নজরুলের ভাষ্য, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় হতদরিদ্র লোকদের গৃহ নির্মাণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে ইউএনওর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের কথা সাংবাদিকরা জানতে পারলে তারা তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন। বিষয়টি ইউএনওর কানে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনের শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি বিএম ইশ্রাফিল বলেন, “উপজেলা চত্বরে আয়োজিত বৃক্ষ মেলার একটি স্টলে বসে শুক্রবার আমাকে ডেকে নজরুলকে উদ্দেশ্য করে ইউএনও গালিগালাজ করেন এবং তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।”

এরপরও আরেকদিন ইউএনও নজরুলের উদ্দেশ্যে গালাগাল দিয়ে হত্যা করবেন বলে হুমকি দেন, বলেন ইশ্রাফিল।

অভিযোগ অস্বীকার করে জিয়াউর রহমান বলেন, “আমি তাকে কী কারণে হুমকি দিতে যাব? এ সব ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট।”

পালং মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, “ইউএনওর বিরুদ্ধে সাংবাদিক নজরুলের একটি দরখাস্ত পেয়েছি। আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

এ ঘটনায় শরীয়তপুরের সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।