হরতকিতলা থেকে রোববার রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে টঙ্গী থানার ওসি কামাল হোসেন জানান।
তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তার এক বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
নিহত সোহাগ হোসেন (১৮) হরতকিতলার আলী হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় বেগম সুফিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, সোহাগ লেখাপড়ার পাশাপাশি শাহীন মিয়া নামের এক প্রতিবেশী বন্ধুর এমএলএম (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং) কোম্পানিতে কাজ করতেন।
“শুক্রবার বিকালে শাহীন ও সোহাগ বাড়ি থেকে বের হন। শাহিন ওইদিন বাড়ি ফিরলেও সোহাগ ফেরেননি।”
ওসি বলেন, রোববার রাতে টঙ্গী থানা পুলিশ ইজতেমা ময়দানের পাশে তুরাগ নদের ব্রিজের কাছে সোহাগের লাশ পাওয়া যায়। পরে সোহাগের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন থেকে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয় এবং রাতেই পারিবারের সদস্যরা লাশ শনাক্ত করেন।
এদিকে, সোমবার সকালে হরতকিতলা থেকে স্থানীয়রা সোহাগের বন্ধু শাহীনকে আটক করে টঙ্গী থানায় সোপর্দ করেছেন।
শাহীন গাইবান্দার ঢোলভাঙ্গার নন্দিনা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় একটি হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে ওসি জানান।