অন্যদিকে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নিজেদের পথসভায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল বলে দাবি করছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রোববার গণমাধ্যমে এ দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দী মেয়র প্রার্থী নিজ নিজ ভাষ্য তুলে ধরেন।
এদিন খায়রুজ্জামান লিটন নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন মহল্লায় এবং মোসাদেক হোসেন বুলবুল ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন।
গত ১৭ জুলাই নগরের সাগরপাড়া মোড়ে বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নির্বাচনী পথসভা বোমা বিস্ফোরণে পণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় পুলিশ মামলা করে। এ মামলায় শনিবার গভীর রাতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিস্ফোরণের ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথোপকথনে জড়িত অভিযোগে মন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বোমা হামলা নিয়ে বিএনপির দুই নেতার কথোপকথনের অডিও বিষয় জানতে চাললে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, “এ নির্বাচন তো আমরা ষড়যন্তের মধ্যে করছি। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এ ধরনের অডিও বিশ্বাসযোগ্য নয়। মানুষ সেটি বিশ্বাস করে না। এটিও একটি ষড়যন্ত্র।”
তিনি বলেন, “প্রথম থেকে তারা আমাদের নানাভাবে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করছিল। নৌকা প্রতীকের গণজোয়ার দেখে তারা এ ধরনের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র করা তাদের পুরনো অভ্যাস।”
দুপুরে মহানগর পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার সংবাদ সম্মেলন করে মন্টুকে গ্রেপ্তার ও বোমা হামলা নিয়ে বিএনপির দুই নেতার কথোপকথনের বিষয়ে বিস্তারিত জানান।