এদের মধ্যে চারজনকে দুই বছর এবং আটজনকে এক বছরের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান।
আব্দুর রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সামিনেশন ডিসিপ্লিন কমিটির সভায় তাদের বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে শনিবার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
রশিদ বলেন, বহিষ্কৃত অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাইরে থেকে লিখে নিয়ে পরীক্ষার হলে আসেন এবং উত্তরপত্রে লেখার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। এছাড়া তারা মোবাইল ফোনে উত্তর ইমেজ ও পিডিএফ আকারে নিয়ে আসেন এবং সেখান থেকে দেখে দেখে উত্তর লেখার সময় ধরা পড়েন।
গত এপ্রিল মাসে ২২টি বিভাগে প্রথমবারের মতো একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের এসব ঘটনা ঘটে।
বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নিলয় চন্দ্র মন্ডল, রাফিউর রহমান অপূর্ব ও আদনান আহমেদ প্রান্তকে এক বছর; পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের আনাস আল হোসাইনকে দুই বছর, একই বিভাগের প্রথম বর্ষের আরাফাত খানকে এক বছর, পদার্থ বিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের বারিউল হক মুবীনকে এক বছর, গণিতের প্রথম বর্ষের তোফায়েল প্রধানকে এক বছর, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তির দ্বিতীয় বর্ষের আক্তার হোসেনকে দুই বছর, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের তৃতীয় বর্ষের সুশান্ত কুমার দাশ ও মোস্তাফিজুর রহমানকে দুই বছর এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের নাসিম রেজা ইবনে মিওন ও সোহেল রানাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।