শনিবার ঢাকার তুরাগ থানাধীন কামাপাড়ার তালতলা ফেরিঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিকালে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরিরা তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এরা হলো গাজীপুরের কালীগঞ্জ সদরের শরীফ হোসেনের মেয়ে সামিরা আক্তার (১০) ও শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার খোকন মিয়ার মেয়ে সোহাগী আক্তার (৯)।
সামিরা উত্তরা মডেল একাডেমীর চতুর্থ শ্রেণি ও সোহাগী একই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তাদের পরিবার তুরাগ থানাধীন বাটুলিয়ায় বসবাস করে।
টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের লিডার মাহবুব হোসেন জানান, উত্তরা মডেল একাডেমীর তিন শিক্ষার্থী সোহাগী, সমিরা ও হাবিবা শনিবার দুপুর ২টার দিকে স্কুল ছুটির পর বাড়ি রওনা দেয়।
“পথে তারা কামাড়পাড়ার তালাতলা ফেরিঘাট এলাকায় তুরাগ নদের পাড়ে স্কুলের ব্যাগ রেখে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে সোহাগী ও সামিরা গভীর পানিতে তলিয়ে যায়; তবে হাবিবা সাঁতরে কূলে ওঠে।”
মাহবুব জানান, পরে হাবিবার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে সোহাগী আর সামিরাকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে খবর দেয়।
“বিকাল সোয়া ৪টার দিকে তুরাগ নদ থেকে ফায়ারের ডুবুরিরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।”
ফায়ার কর্মকর্তা আরও বলেন, ৩টা ৪০ মিনিটে তারা শিশু ডুবে যাওয়ার খবর পান। পরে তারা ডুবুরি পাঠান।