শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার তারাবাড়িয়া ইউনিয়নের খানবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পাবনার (সদর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান।
নিহতরা হলেন ওই গ্রামের সুজন জোয়ার্দারের স্ত্রী রুশি খাতুন (২৫) ও ছেলে রোহান (২)।
ইবনে মিজান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, নিহতদের টিনের বসতঘরের দরজা বিকাল থেকে বন্ধ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পাশে গিয়ে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে তারা প্রথমে সুজন জোর্য়াদ্দারকে খবর দেন। এরপর এলাকার লোকজন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হক টুটুল সংবাদ শুনে পাবনা সদর থানায় অবহিত করেন।
চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল হক টুটুল বলেন, তারা অতি দরিদ্র। সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। তবে নিহত রুশি খাতুনের নাকি মাথায় সমস্যা ছিল।
“রুশি নিজ সন্তানকে হত্যার পর নিজেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল।”
পাবনা সদর থানার ওসি ওবাইদুল হক বলেন, নিহত রুশির স্বামী সুজন ঢাকায় মইক্রোবাস চালাতেন। সম্প্রতি তিনি গ্রামের বাড়ি এসে মাছের ব্যবসা শুরু করেন। এই ঘটনার সময় তিনি বাড়ির বাইরে একটি পুকুরে কাজ করছিলেন।
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা আংশিক নিশ্চিত হয়েছি যে, রুশি খাতুন তার শিশু সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন। এ ধরনের নমুনা আমরা ইতিমধ্যেই পেয়েছি।
“তারপরেও অন্য কেউ এই দুইজনকে হত্যা করেছে কিনা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যেই রুশির স্বামী সুজনকে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্যে।”
পুলিশ সুপার আরও জানান, নিহত রুশি খাতুনের এটি দ্বিতীয় বিয়ে এবং তার স্বামী সুজনের তৃতীয় বউ ছিলেন তিনি।