মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে নবীগঞ্জ থানার ওসি এসএম আতাউর রহমান জানান।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হুমায়ুন কবির নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে কলেজে আসা যাওযার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত দিপন আহমেদ মুন্না ও তার সহযোগীরা। মঙ্গলবার দুপুরে সহযোগীদের নিয়ে আবারও উত্ত্যক্ত করার সময় অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন বিষয়টি দেখে তাদের বাধা দেন।
এতে মুন্নাসহ তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষের ওপর হামলা চালায়।
এসময় তাকে বাঁচাতে দপ্তরি ফয়জুর রহমান এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয় বলে জানায় তারা।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অধ্যক্ষ ও দপ্তরি ফয়জুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ওসি আতাউর বলেন, পুলিশ জড়িতদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
অপরদিকে অধ্যক্ষের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মিলে নবীগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে।
পরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়ে অবরোধ তুলে নেয় তারা।