সোমবার ওই এলাকার মল্লিক মার্কেটের তৃতীয় তলার হোসনে আরা হোসিয়ারি কারখানা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাকিল মিয়া (১৮) বন্দর উপজেলার চর ইসলামপুরের জোহা মিয়ার ছেলে। তিনি হোসেনে আরা হোসিয়ারিতে শিক্ষানবিশ মেশিন অপারেটরের কাজ করতেন।
তবে কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, রোববার রাতে শাকিল মিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা বাইরে একটি দোকানে দেখে কারখানায় এসে ঘুমান। কিন্তু সকালে দোকান খোলা না দেখে হোসিয়ারির মালিক সুমন মিয়া দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে শাকিলের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন।
তিনি জানান, দোকানে কারা কাজ করত তা জানার জন্য হোসিয়ারির মালিক সুমন মিয়া ও মার্কেটের নৈশ প্রহরী আমির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শাকিল মিয়ার মা সীমা বেগম বলেন, “যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। পুলিশ যেন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী জানান, নিহতের শরীরের বুকে, পিঠে, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাপড় কাটার কাঁচি বা ছুরির সাত থেকে আটটি জখমের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে; কারা কী কারণে শাকিলকে হত্যা করেছে তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।