স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
সোমবার বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপনের কপি পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আঞ্জুমান আরা গত ৮ জুলাই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া জবাব ও ব্যক্তিগত শুনানিতে মনিরুজ্জামান মিন্টু তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ অস্বীকার করেন। এরপর অভিযোগসমূহের প্রকৃতি গুরুতর হওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে উল্লেখিত বক্তব্যের স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণাদিসহ সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা করার জন্য তাকে অনুরোধ করা হয়।
তিনি বক্তব্যের স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণাদিসহ সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান না করায় পুনরায় তার ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণ করা হয়। দ্বিতীয়বার বক্তব্য শুনানিতে তিনি জবাব দাখিল করলেও জবাবের স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণাদিসহ সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করেননি বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
মিন্টুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার নিজে তদন্ত করেন। তদন্তে ১৬টি অভিযোগের ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ১৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
মনিরুজ্জামান মিন্টু প্রজ্ঞাপন পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তদন্তকালে অনেকে সাক্ষ্য দেয়নি। কিন্তু অন্য লোক দিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে তিনি উচ্চ আদালতে রিট করবেন বলে জানান।