রোববার দুপুরে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. কামরুজ্জামানের কার্যালয়ে এ হামলা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কামরুজ্জামান বলেন, তিনি গত ৫ জুলাই ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে বদলি হয়ে মধুখালীতে যোগ দেন। রোববার তিনি প্রথম স্থানীয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করতে তাদেরকে তার কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৫/৩০ জনের মতো শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকের একটি দল মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকে তার নাম ফলক ভেঙে ফেলেন।
তিনি কেন নেতাদের না জানিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন এবং কেন কাজের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় করে চলেন না এ ব্যাপারে কৈফয়ত তলব করেন বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নাজির হোসেন মৃধা বলেন, এই শিক্ষা কর্মকর্তা মধুখালী এসে তাদের সঙ্গে (শিক্ষক সমিতি) সমন্বয় করে কাজ করেনি। তিনি এমন কিছু বিতর্কিত কাজ এ সময়ের মধ্যে করে ফেলেছেন যাতে শিক্ষক হিসেবে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
ওই কর্মকর্তার অধীনে তারা কাজ করবেন না জানান নজির হোসেন। তবে তারা নাম ফলক ভাঙার কথা অস্বীকার করেন এবং কার্যালয়ে তালা দেওয়ার হুমকি দেননি বলে দাবি করেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র মন্ডল বলেন, তিনি শিক্ষক নেতাদের উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, নাম ফলক ভাঙা এবং অফিসে তালা দেওয়ার হুমকির কাথা জানতে পেরেছেন।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মধুখালী থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।