‘সচেতনতাই পারে মা-বোনের জীবন বাঁচাতে’- শ্লোগান নিয়ে শনিবার ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য বিভাগ পরিচালিত হেনা আহমেদ হাসপাতালে এই ক্যাম্প আয়োজন করা হয়।
ক্যাম্পে ৮০ জন রোগীর পরীক্ষার পর দুইজনের ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থা ধরা পড়েছে বলে আহছানিয়া মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুবিধাবঞ্চিত ও যে সকল নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব আছে সে সকল নারীদের জরায়ুর মুখের ক্যান্সার কেন নির্ণয় করা প্রয়োজন তা জানানো এবং ক্যান্সার হওয়ার আগেই যাতে সনাক্ত করা যায় ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নারীরা সুস্থ থাকতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করাই ছিল এই ক্যাম্পের মূল উদ্দেশ্য।
ক্যাম্প চলাকালে সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক আলোচনায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ক্লিনিক ম্যানেজার ডা. নায়লা পারভীন বলেন, অল্প বয়সে বিয়ে হলে, বিবাহিত জীবন দশ বছরের বেশি হলে, বয়স ত্রিশ বছর হয়ে গেলে, ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে, ঋতু ভাংগা ও সাদাস্রাব হলে, অনিয়মিত রক্তস্রাব হলে, সহবাস সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতায় বা পরিবারের কেউ জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকলে জরায়ু মুখে ক্যান্সারপূর্ব অবস্থা নির্ণয় করা উচিত।
সচেতনতামূলক আলোচনা শেষে ঢাকা থেকে আগত বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনব্যাপী এই ক্যাম্প থেকে মুন্সিগজ্ঞ জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের ৮০ জন নারীর বিনামূল্যে জরায়ু মুখে ক্যান্সার পূর্ব অবস্থা নির্ণয়ে অংশ নেন। এতে দুই জনের ক্যান্সার পূর্ব অবস্থা ধরা পড়েছে।