ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার সকালে তাদের মৃত্যু হয় বলে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম শরিফ জানান।
শেরপুর শহরের মাধবপুরে ফ্যামেলি নাসিং হোমে গত ৭ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় জন্ম নেয় মাথা জোড়া লাগা জমজ দুই মেয়ে; পরে যাদের নাম রাখা হয় সুন্দরী ও বেলা।
ওই দুই শিশুর নানা আমিনুল ইসলাম জানান, সুন্দরী সকাল সাড়ে ১০টায় এবং বেলা সকাল সাড়ে ১১টায় মারা যায়।
পরে তাদের মরদেহ নিয়ে তিনি শেরপুরের উদ্দেশে রওনা হন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে শেরপুর থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক আইসিইউতে নেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ডাক্তার শরিফুল ইসলাম শরিফ ও তার স্ত্রী শেরপুর সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ডাক্তার নায়না হোসেন শিশু দুটি ও তাদের মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, শিশু সুন্দরীর জন্ডিস দেখা দেওয়ার পর শেরপুরের সিভিল সার্জনের সার্বিক সহযোগিতায় তাদেরকে বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে সেখানে তাদের মৃত্যু ঘটে।
এ দুই শিশুর বাবা-মা হলেন শেরপুর পৌর শহরের চাপাতলী এলাকার রিকশাচালক রুবেল মিয়া ও রেহেনা বেগম।
শেরপুরের সিনিয়র গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল গণি খন্দকার সিজারের মাধ্যমে জোড়ামাথার এই জমজকে ভূমিষ্ট করান।