এসব প্রকল্পের মধ্যে একটি হল ঈশ্বরদী-পাবনা রেললাইন; যা প্রধানত পারমাণবিক প্রকল্পের যন্ত্রাংশ পরিবহনে ব্যবহৃত হবে বলে তিনি জানান।
পাবনায় অবস্থানরত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি অনেক বড় একটি কাজ। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় ইউনিটের মূল কাজ উদ্বোধনের মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পথ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাশিয়ার রাশান ফেডারেশনের উপ-প্রধান ইউরি ইভানোভিচ বোরিচভ, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিচালক দোহি হ্যান উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বলে তিনি জানান।
গত বছর ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী এই কেন্দ্রের প্রথম চুল্লি (কংক্রিটের মূল স্থাপনা) নির্মাণের উদ্বোধন করেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ চলছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুলিশ লাইন্সে জনসভায় বক্তব্য দেবন। সভা সফল করতে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড শেষ পর্যায়ে।
“প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাবনাবাসীর চাওয়ার চেয়ে পাওয়া বেশি হয়েছে। পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ চলছে। রেললাইন চালু হয়েছে। আরও রেললাইন হচ্ছে। মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে। তিনি পাবনাবাসীকে যা দিয়েছেন গত সাড়ে নয় বছরে, তা স্বাধীনতা-পরবর্তীতে কোনো সরকার দেয়নি। তাই পাবনাবাসী তাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।”
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে জেলাজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির।
পুলিশ সুপার বলেন, অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন।