নিহত নূরুল ইসলাম ওরফে নূরু (৪০) যশোরের চৌগাছা উপজেলার বর্নি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তার নামে থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।
কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালেহ উদ্দিন বলেন, বুধবার রাত ২টার দিকে মহেশপুর থানার পুলিশ কালীগঞ্জ-জীবননগর মহাসড়কে টহল দিচ্ছিল। এ সময় মহেশপুরের পুরন্দরপুর এলাকায় রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি করা হচ্ছে বলে খবর আসে।
“অভিযান চালালে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সাত-আট মিনিট বন্দুকযুদ্ধের পর ডাকাতরা পিছু হটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ নূরুকে উদ্ধার করে মহেশপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, একটি গুলি, দুটি হাতবোমা, একটি গাছ কাটার করাত ও দুটি হাঁসুয়া উদ্ধার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নিহত নূরুর নামে থানায় ডাকাতিসহ মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।”
এ সময় চার পুলিশ আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আহতরা হচ্ছেন এএসআই মফিজ উদ্দিন, কনেস্টবল মোজাফ্ফর হোসেন, ইমরান হোসেন ও চঞ্চল। তাদের মহেশপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”