বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার বালুইগাছা গ্রামের শওকত হোসেন ও ধুলিহরের তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু। দুজনেই জামিন নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি তাদেরকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে বিশেষ পিপি জহুরুল হায়দার বাবু জানান।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, তঞ্জুরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের এক মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে বাবু। বন্ধু শওকতের হোসেনের প্ররোচনায় স্ত্রীর বাবার বাড়িতেও যৌতুকের জন্য চাপ দেয়।
“যৌতুক না পেয়ে ২০০৫ সালের ২৫ অগাস্ট কাজের কথা বলে স্ত্রীকে ভোমরা সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায় । এরপর সেখান থেকে পার করে ভারতে নিয়ে পাচারকারী হাতে তুলে দেয় তারা।”
এরপর ভারতের মুম্বাই শহরের যৌনপল্লী থেকে কৌশলে দেশে পালিয়ে আসে বাবুর স্ত্রী। এসে খালুর বাড়িতে আশ্রয়। পরে ২০০৫ সালের ৯ সেপ্টম্বর তার খালু বাদী বাবু ও শওকতের নারী পাচারের মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৫ সালে ২ নভেম্বর বাবু ও শওকতের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।