মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত নগরের সাহেববাজার ও গোরহাঙ্গা এলাকায় গণসংযোগ করে নৌকায় ভোট চান খায়রুজ্জামান লিটন।
অপরদিকে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত নগরের ৯ নম্বর ও ১২ নম্বর এলাকায় গণসংযোগ করেন বুলবুল।
লিটন রাজশাহী উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা তুলে ধরে নির্বাচনী ইশতেহার ভোটারদের হাতে দেন।
তিনি নৌকায় ভোট দিয়ে আরেকবার সুযোগ দিতে ভোটরদের অনুরোধ করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য নাঈমুল হুদা রানা, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামানিক, আওয়ামী লীগ নেতা আহাসনুল হক পিন্টু, নগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মিন্টুসহ মহাজোট নেতৃবৃন্দ।
এর আগে দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে খায়রুজ্জামান লিটন তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে গুরুত্ব দিয়ে তার নির্বাচনী ইশতেহারে ১৪ দফা তুলে ধরেন।
বিএনপি নেতা বুলবুল আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া আল্লামা মুহাম্মদ মিয়া কাসেমী রহ: (ইসলামিয়া মাদরাসা) মাদরাসায় বড় হুজুরের সঙ্গে সাক্ষাত করে দোয়া নেন। পরে তিনি শাহ্ মখ্দুম রুপোশ এর মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শাফিক, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত প্রমুখ।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপর তিনজন হলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মতিন) হাবিবুর রহমান হাবিব, ইসলামী আন্দোলনের সরিফুল ইসলাম এবং গণসংহতি আন্দোলনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ।
এছাড়া ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৬০ জন, ১০টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৩০ জুলাই ১৩৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এবার ভোটার তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন। এবার মধ্যে নতুন ভোটার রয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার, যারা এবার প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।