রাজধানীর সিটি হাসপাতালে শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় জানিয়েছেন হাসপাতালটির বার্ন ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক মো. শহিদুল বারী।
ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে গত ১৪ মে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মালা (১৬) ও তার ছোট বোন মারজিয়ার (৭) ওপর এসিড নিক্ষেপ করে মহব্বত হাওলাদার।
মহাব্বত হাওলাদার অপু (১৯) ভোলা সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র।
পরদিন ভোলা সদর মডেল থানায় মামলা করেন মালার মা।
দুই মাস আগে মোবাইল ফোনে রং নম্বরে মহব্বত হাওলাদারের (১৯) সঙ্গে পরিচয় হয় মালার। এসিড নিক্ষেপের সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের পর ২৬ মে জবানবন্দিতে এসিড নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেন মহব্বত।
এসিডে মালার শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এক চোখ, এক কান ও নাকের খানিকটা গলে যায়। আরেক চোখের অবস্থাও ভালো ছিল না। তাছাড়া মুখ থেকে বুকের নিচ পর্যন্ত গভীরভাবে দগ্ধ হয়।
চিকিৎসকেরা জানান, শ্বাসনালীসহ তার শরীরের ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
ভোলা থেকে প্রথমে তাকে মিরপুরে এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ) হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। পরে সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎিসক শহিদুল বারী।