শনিবার সকাল ৯টার দিকে জেলা শহরের মাধবপুরে ‘ফ্যামেলি নাসিং হোমে’ জন্ম নেওয়া এ জমজ মেয়ের বাবা পৌর শহরের চাপাতলীর রিকশাচালক রুবেল মিয়া এবং মা গৃহিনী রেহেনা বেগম।
জ্যেষ্ঠ গাইনি চিকিৎসক আব্দুল গণি এই সিজার অপারেশন করেন।শিশু দুইটি এখন সুস্থ আছে।
ফ্যামেলি নাসিং হোমের স্বত্ত্বাধিকারী ডাক্তার এম এ বারেক তোতা সাংবাদিকদের বলেন, সকালে সিজারিয়ান সেকশানে যে অপারেশনটা করা হয়েছে তা ব্যতিক্রমধর্মী একটা অপারেশন।
“শেরপুরের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের অপারেশন আমরা সচরাচর করি না এবং করার সাহসও আমাদের নাই। কিন্তু যেহেতু গরিব রোগী। ময়মনসিংহ থেকে তারা ফেরৎ এসেছে।
“ডাক্তার আব্দুল গণির সাহসী উদ্যোগ এবং আমাদের সবার সহযোগিতায় অপারেশনটা করার সিদ্ধান্ত নেই। ইনশাল্লাহ্ খুবই সুন্দরভাবে কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়া অপারেশনটা সম্পন্ন করেছি।”
তিনি বলেন, “দুটো বাচ্চার মাথা জোড়া লাগা। এটা জটিল একটা অবস্থা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের আমরা ঢাকায় পাঠাব। এর আগে নবজাতক বাচ্চার যত্ন নেওয়ার মতো প্রসূতি মা সুস্থ হয়ে উঠলেই চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।”
সদ্যজাত এ দুই শিশু ও তাদের মা সুস্থ রয়েছেন; নবজাতকরা জন্মের পর থেকে তাদের মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছে বলে ওই শিশু দুটির নানা আমিনুল ইসলাম ও নানি শিরিনা বেগম জানিয়েছেন।
মাথা জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্মের খবর ছড়ালে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের দেখার জন্য বহু লোক ওই নার্সিং হোমে ভিড় জমায়। সেখানে ১ নম্বর কেবিনে ওই দুই শিশু ও তাদের মাকে রাখা হয়েছে।