পুলিশ কনস্টেবলের বাসায় শিশু গৃহকর্মীকে ‘নির্যাতন’

নোয়াখালীতে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের বাসায় শিশু গৃহকর্মীকে হাত বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে; এমন একটি ভিডিও এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2018, 03:16 PM
Updated : 6 July 2018, 03:37 PM

মোবাইল ফোনে ধারণ করা এই ভিডিওতে শিশুটিকে বাসার ছাদে নিয়ে হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটাতে দেখা যায় এক নারীকে। এ সময় আরেক নারীকে লাঠি হাতে সহায়তা করতেও দেখা যায়।

অভিযোগে থাকা এই কনস্টেবল হলেন নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত রিনা আক্তার।

এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কনস্টেবল রিনা আক্তার শিশুটিকে বাসার ছাদে নিয়ে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। এ সময় পাশের বাসা থেকে মোবাইল ফোনে এই চিত্র ধারণ করা হয়। পরে লোকজন থানায় খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু এ সময় শিশুটি নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশকে কোনো তথ্য দেয়নি বলে সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান।

ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, শুক্রবার পুলিশ জানতে পারে, ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে কনস্টেবল রিনা আক্তার শিশুটিকেসহ বৃহস্পতিবার কর্মস্থলের বাইরে গেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের পশ্চিমে খন্দকার পাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোস্তফার বাসায় এক বছরের বেশি সময় ধরে কনস্টেবল রিনা আক্তার তার মা ও ছেলের স্ত্রীসহ বসবাস করে আসছেন। তাদের বাড়ি মৌলভী বাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। সেই সুবাধে ওই এলাকার এক দিনমজুরের মেয়ে কলিকে (১৩) বাসায় কাজ করতে নিয়ে আসেন তিনি।

বিভিন্ন সময় প্রয়োজনে কলি পাড়ার দোকানে আসা যাওয়া করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করলে কনস্টেবল রিনা তাকে নির্যাতন করেন বলে কলি জানায়, বলেন এলাকাবাসী।

পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমানডেন্ট রেজাউল করিম বলেন, টাকা চুরির অভিযোগে কনস্টেবল রিনা আক্তারের বাসায় তার গৃহকর্মীকে নির্যাতনের কথা তিনিও শুনেছেন। এ ব্যপারে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে তিন জন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

নোয়াখালীর এসপি মো. ইলিয়াস শরীফ বলেন, অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ অপরাধ করে পার পাবে না। কোনো পুলিশ সদস্যও অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।