নদীর পানি বাড়ছে, কুড়িগ্রামে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি

ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুড়িগ্রামে এসব নদীর অববাহিকায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে হাজার হাজার পরিবার।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিআহসান হাবিব নীলু, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2018, 01:39 PM
Updated : 6 July 2018, 01:40 PM

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রে ৩৫ ও দুধকুমারে ৩২, ধরলায় ৪৬ ও তিস্তায় ২৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

শুক্রবার বিকালে কুড়িগ্রাম ফেরিঘাট পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানান কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, সদর উপজেলার হলোখানার সারোডোব এলাকায় মেরামত করা একটি বাঁধ ভেঙে চারটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

তিনি জানান, চর হলোখানা, চর সারোডাব, কাগজিপাড়া, বড়লই, চর জয়কুমার, কালুয়ারচর, চর বড়ভিটা গ্রামের অধিকাংশ এলাকা এখন পানির নিচে।

“সারোডোব এলাকায় মেরামত করা বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় গত দুদিনে এ বাঁধ সংলগ্ন ১০টি পরিবারের ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকেই রাস্তা ও বাঁধে তাবু ও চালা টাঙিয়ে কোনো মতে আশ্রয় নিয়ে আছে।”

প্রকৌশলী শফিকুল আরও জানান, দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে হাজার হাজার পরিবার।

“রাজারহাট উপজেলার কালুয়ারচর এলাকায় মেরামত করা একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী বালুর বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে।”

বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজে থেকে বাঁধ রক্ষার কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন উল্লেখ করে বর্তমানে বাঁধটি শঙ্কামুক্ত বলে জানান।

তিস্তার পানিতে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫টি চরগ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকায় আমনের বীজতলা, ভুট্টা, কলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, জেলায় ৪২৮টি স্কুলসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে কেউ আশ্রয় নেয়নি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বন্যা মোকাবেলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।