মঙ্গলবার রাতে কুলাউড়া রেল স্টেশনে কুলাউড়া সেকশনের ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মোহাম্মদ এরফানুর রহমানকে আটক করা হয়।
এরফানুর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার নাওঘাট গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
দুদকের আইজীবী চাঁদ মুরারী সিংহ জানান, বুধবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দুদক হবিগঞ্জ জেলা সম্মলিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা জানান, এরফানুর রহমান ৫ বছর আগে রেলওয়ের কুলাউড়া সেকশনের ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী (পথ) হিসেবে যোগদান করেন।
“কুলাউড়ায় যোগদান করেই শুরু করেন ঘুষ বাণিজ্য। তার অধীনস্থ সকল কর্মচারীর কাছ থেকে বিভিন্ন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জিম্মি করে ঘুষ আদায় করতেন।”
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার অধীনস্ত কর্মচারী রেলের ওয়েম্যান আবুল হোসেনের কাছ থেকে ঘুষ (মাসোহারা) ১০ হাজার টাকা গ্রহণের সময় দুদক হবিগঞ্জ জেলা সম্মলিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহার নেতেৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করেন।
দুদক উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা বলেন, এরফান দীর্ঘ দিন থেকে তার অধীনস্ত কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘুষ ও মসোহারা আদায় করতেন। “মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুলাউড়া রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের রুমে রেলওয়ের এক কর্মচারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের সময় তাকে আটক করে দুদক টিম। এরপর রাতে কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় এরফানকে হস্তান্তর করে দুদক টিম।