সাতক্ষীরায় পাচার ও ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন

সাতক্ষীরায় পাচার ও ধর্ষণের দায়ে পৃথক তিনটি মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2018, 11:56 AM
Updated : 4 July 2018, 11:56 AM

সাতক্ষীরার নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার বুধবার মামলা তিনটির রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া আদালত দুই আসামিকে ৫০ হাজার করে আর অন্যজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

আসামিরা হলেন জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার জগদীশকাটি গ্রামের কাশেম আলী গাইনের ছেলে গোলাম রসুল, তালা উপজেলার আটরই গ্রামের মোকাম মোড়লের ছেলে নূর ইসলাম ও কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের কাজী গিয়াস উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান।

সব আসামি পলাতক রয়েছেন।

সাতক্ষীরার আদালতের পিপি জহুরুল হায়দার বাবু মামলার নথির বরাতে বলেন, জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল করিম মল্লিকের কালিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে একটি হোটেল ছিল। ওেই হোটেলে কাজ করতেন গোলাম রসুল।

“২০০৫ সালের ২৯ জুলাই রসুল হোটেলমালিক করিমের ছেলে শহীদুল ইসলামকে (৪) নিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন ফরিদপুর থেকে শিশুসহ রসুলকে আটক করে পুলিশ।”

এ ঘটনায় করিম কালিগঞ্জ থানায় অপহরণের দায়ে রসুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ২০০৫ সালের ১৪ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

আদালত রসুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ছাড়াও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানা না দিলে তাকে আরও ছয় মাস কারাগারে থাকতে হবে।

রসুল পলাতক রয়েছেন।

অন্য মামলায় এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের দায়ে নূর ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাকে আরও তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে।

পিপি জহুরুল মামলার নথির বরাতে বলেন, ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি নূর ইসলাম এক প্রতিবন্ধী নারীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় তার ভাই নূর ইসলামসহ তার সহযোগী হিসেবে খায়রুল মোড়ল ও নাজমা বেগমের নামে মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

তবে অন্য দুই আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।

অন্য একটি ধর্ষণ মামলায় হাফিজুর রহমাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাকে আরও ছয় মাস কারাগারে থাকতে হবে।

পিপি জহুরুল মামলার নথির বরাতে বলেন, হাফিজুর বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলে হাফিজুর পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ মামলা হয়। এ ঘটনায় ২০০৯ সালে ১৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

পিপি জহুরুল বলেন, সব আসামি পলাতক রয়েছেন। আসামি গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।