নিহত শহীদ হোসেন মল্লিক (৪০) যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলের কাগমারী গ্রামের শওকত হোসেনের ছেলে।
বেনাপোল থানার ওসি অপূর্ব হালদার বলছেন, শহীদ একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা; তার নামে থানায় ২১টি মাদক মামলা রয়েছে।
উপজেলার ফুলসরার চান্দা আফরা মোড়ে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে ‘দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে’ গোলাগুলির পর সেখানে শহীদের লাশ পাওয়া যায় বলে চৌগাছা থানার ওসি খন্দকার শামিম উদ্দিনের ভাষ্য।
ঘটনাস্থল থেকে গুলিসহ একটি পিস্তল ও সাড়ে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধারের কথাও বলেছে পুলিশ।
ওসি শামিম বলেন, ফুলসরার চান্দা আফরা মোড়ে দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ।
“এ সময় সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানে হলে সেখানে শহীদের ভাই মনির হোসেন মল্লিক লাশ শনাক্ত করেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা শামীম।
মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শার্শা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে থেকে মঙ্গলবার বিকেলে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ কয়েকজন শহীদকে ধরে নিয়ে যায়।
তারপর থেকে শহীদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানান মনির।
এ বিষয়ে জারতে চাইলে বেনাপোল থানার ওসি অপূর্ব হালদার বলেন, তারা শহীদকে আটক বা গ্রেপ্তার করেননি। অন্য কেউ আটক করেছে বলেও তাদের জানা নেই।