ভোলায় ‘আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা’

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চুরি ও মাদক মামলার ‘আসামি ছিনিয়ে নিতে’ পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2018, 02:09 PM
Updated : 29 June 2018, 02:09 PM

তজুমদ্দিন থানার ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, শুক্রবার দুপুরে এ হামলায় তিনিসহ (ওসি) অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

ওসি ফারুক জানান, বেলা ১২টার দিকে উপজেলার নতুন বাজার এলাকা থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনসহ আসামি মিরাজ মাতাব্বরকে (৩০) আটক করে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ।

“আসামীকে থানায় আনার পথে দক্ষিণ খাসের হাট বাজারে আসামির শ্বশুর ছায়েদুল হক ছাদু চৌকিদারের নেতৃত্বে তার ছেলেরা মিরাজকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।”

এ সময় তারা আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ওসিসহ চার পুলিশের উপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়; পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে চৌকিদার গ্রুপকে প্রতিহত করে বলে ওসি ফারুকের ভাষ্য।

ফারুক বলেন, হামলায় তিনি নিজে (তজুমদ্দিন থানার ওসি ফারুক আহমেদ), এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই জসিম উদ্দিন, কনস্টেবল মাহমুদ, লিটন, আমির হোসেন, নোমান, জামাল, জসিম, মাকসুদসহ ১৫ জন আহত হন।

আহতদেরকে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে ওসি জানান।

আটক মিরাজ লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরছকিনা গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে।

ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মিরাজের বিরুদ্ধে নেশা খাইয়ে চুরি, চোরাচালান, মাদক ব্যবসা, জাল নোট ব্যবসা ও অস্ত্র আইনে লালমোহন ও তজুমদ্দিন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে।

ওসি জানান, গত ২৭ মে রাতে শম্ভুপুর খাসেরহাট এলাকার জামাল উদ্দিন মাস্টারের বাড়ির লোকজনকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে নগদ ৩৫ হাজার টাকা, মোবাইলসহ বিভিন্ন  মামলামাল নিয়ে যান। শৃক্রবার তিনি খাসেরহাট নতুনবাজারে শ্বশুড় বাড়ির এলাকায় মোবাইল ফোন বিক্রি করতে এলে পুলিশ তাকে আটক করে।

নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে চুরির ঘটনায় জামাল মাস্টারের করা মামলায় মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ওসি জানান।

ওসি আরও জানান, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ছাদু চৌকিদার, তার ছেলে ফরিদ, সেলিম ও কামালসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫০ জনকে আসামি করে এসআই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।