শেরপুরে ৬ জেএমবির সাজা

সন্ত্রাস দমন আইনের এক মামলায় শেরপুরে ছয় জেএমবি সদস্যকে পৃথক তিনটি ধারায় সাড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2018, 12:08 PM
Updated : 25 June 2018, 12:08 PM

শেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ এম এ নূর সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া আাদালত তাদের ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেছে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন শেরপুর শহরের ঢাকলহাটী মহল্লার রাজা মিয়ার ছেলে নাজমুস সাহাদাত রানা (২৮), শহরের নওহাটা মহল্লার মুনসুর আলীর ছেলে মারুফ হোসেন রনি (৩১), পূর্বশ্বেরী মহল্লার ফজলুল রহমানের ছেলে মনিরুজ্জামান মানিক ওরফে কাউসার (২৮), বাগরাকসা মহল্লার হাজি আতাহার আলীর ছেলে আমির হামজা খালিদ (৩০), নালিতাবাড়ীর নকশী গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে তানভীর (৩২) ও জামালপুরের রানাগাছা গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সোয়েব (৩৩)।

তাদের মধ্যে আমির হামজা খালিদ পলাতক রয়েছেন। অন্যরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।

তাদের মধ্যে রানাকে সাড়ে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাকে আরও এক বছর সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

অন্য পাঁচ আসামিকে সাড়ে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাদের আরও ছয় মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি অরুণ কুমার সিংহ রায় মামলার নথির বরাতে বলেন, ২০১০ সালের ২২ জানুয়ারি নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সদস্য রানার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে রানা ও কাওসারকে বইপুস্তক ও সিডি-ক্যাসেটসহ আটক করা হয়। পরে রানা ও কাওসারসহ সাতজনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের ৮/৯ ধারায় সদর থানায় মামলা করে পুলিশ।

“আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা চালানোর লক্ষ্যে বিস্ফোরক দ্রব্যের ওপর প্রশিক্ষণ নেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের সাক্ষ্য নিয়ে পৃথক তিনটি ধারায় আদালত এ রায় দিয়েছে।”

রায়ের বিরুদ্ধ উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মজিদ বাদল ও এমকে মুরাদুজ্জামান।