রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জলঢাকা থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
নিহত মোমেনা বেগম (২০) জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ি মহল্লার আব্দুল মালেকের স্ত্রী ও উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের সালনগ্রামের আমিনুর রহমানের মেয়ে।
মোমেনা ভাই আইয়ুব আলী বলেন, প্রায় তিন বছর আগে মালেকের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী-শ্বশুরসহ পরিবার লোকজন তাকে নানাভাবে নির্যাতন করত।
“গত ২২ জুন রাতে আমার বোনকে নির্যাতন করে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার স্বামী। রোববার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।”
বাবা আমিনুর রহমান বলেন, “রোববার সকালে জামাই ফোনে জানায় মোমেনা ডায়রিয়া হয়েছে। তাকে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
“ওই খবর পেয়ে স্ত্রীও স্থানীয় লোকজন নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে মেয়ে জানায়, তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।”
যৌতুকের কারণে স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ির নির্যাতনে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল মালেক বলেন, “ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা চলা অবস্থায় মোমেনার মৃত্যু হয়েছে।”
এ বিষয়ে ওসি মোস্তাফিজুর বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
“লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”