থানায় ‘চাঁদা চাইতে গিয়ে’ ৪ ছাত্রলীগ নেতা আটক

ময়মনসিংহের নান্দাইল থানায় ওসির কাছে ‘চাঁদা চাইতে গিয়ে’ চার ছাত্রলীগ নেতা আটক হয়েছেন।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2018, 11:23 AM
Updated : 24 June 2018, 12:43 PM

এর আগে ওই নেতাদের সঙ্গে এক ঠিকাদারের ‘ঝামেলা বাধলে’ ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া মীমাংসা করে দেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

তবে এক আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করেছেন, একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির সঙ্গে ওসির দ্বন্দ্ব থেকে আটকের এ ঘটনা ঘটেছে।

আর ঠিকাদার এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।

গৌরীপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাখের হোসেন সিদ্দিকী বলেন, “রোববার সকালে নান্দাইল থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়ার কাছে চাঁদা আনতে গেলে তাদের আটক করা হয়।”

আটককৃতরা হলেন নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েল আহম্মেদ (২৬), সহ-সভাপতি রাজু আহম্মেদ (২৯), পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. টিটু (২৫) ও নান্দাইল ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য কামরুল হাসান (২৫)।

তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের  প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ওসি কামরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদের আগে ঝালুয়া এলাকায় একটি পলিটেকনিক ভবন নির্মাণকারী ঠিকাদেরের কাছে নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ফকির ফয়সালসহ ওই নেতারা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

“এ নিয়ে ঝামেলা বাধলে আমি গিয়ে মীমাংসা করে দিই। এর পর থেকে ওই নেতারা আমার কাছেও মোবাইল ফোনে বারবার চাঁদা দাবি করেন। রোববার সকালে ফয়সাল আমাকে ফোন করে বলেন, ‘রাজুকে থানায় পাঠাচ্ছি। ২০ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েন। রাজু থানায় এসে টাকা চাইলে আমি তাকে আটক করি। পরে অন্যরা আসলে তাদেরও আটক করি।”

এ বিষয়ে ফয়সালের বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কায়সারুল আলম ফকির দাবি করেন, “আমার ভাই ফয়সাল কয়েক মাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। তাকে মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল।

“ওসি সাহেবের সঙ্গে ফয়সালের ফোনে কথাকাটি হওয়ার বিষয়টি মীমাংসার জন্য রয়েলসহ কয়েকজন থানায় গিয়েছিল। পরে ওসি তাদের আটক করেন। ফয়সাল ও তার লোকজন কারও কাছে চাঁদা দাবি করার মতো না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তাদের জড়ানো হয়েছে।”

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভাওয়াল কনস্ট্রাকশনের চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “আমি কিছু বলতে পারব না।” তিনি লাইন কেটে দেন।

এ মাসেরই ৯ তারিখে জেলার গৌরীপুর থানায় এসআইকে মারধরের অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতা আটক হয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। দুই দিন আটক থাকার পর আদালত তাকে জামিন দেয় বলে জানিয়েছেন গৌরীপুর থানার এসআই হাসানুজ্জামান।