নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে গাজীপুর সিটি নির্বাচন

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দশ হাজারের বেশি সদস্যের টহল-চৌকির মধ্যে থাকবে ৫৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আবুল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2018, 09:55 AM
Updated : 22 June 2018, 09:55 AM

এছাড়া অব্যাহত রয়েছে বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে এমন লোকদের গ্রেপ্তার অভিযান।

সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন তাদের বিভিন্ন উদ্যোগ ও পরিকল্পনার কথা।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান বলেন, ২৬ জুনের এই ভোট সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন দফায় দফায় বৈঠক করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে। পুরো সিটি চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ।

তিনি বলেন, ৪২৫টি ভোটকেন্দ্রে ১০ হাজার পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ৫৭ ওয়ার্ডে র‌্যাবের ৫৭টি দল সক্রিয় থাকার পাশাপাশি রিজার্ভ থাকবে আরও একটি।

“প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি হিসেবে ৫৭টি থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।এছাড়া প্রতি তিনটি ওয়ার্ড মিলে একজন হিসেবে মোট ১৯ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।”

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যেই বিশেষ প্রশিক্ষিণ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে রাসেল বলেন, গত ৩১ মার্চ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক বিক্রেতাসহ সব ধরনের অপরাধীকে গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।

“অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে দেড় হাজারের বেশি। তাছাড়া পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন দুইজন। অভিযানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।”

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর হিসেবে এই নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। গাজীপুরে ভোটের লড়াইয়ে মেয়র পদে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার।

এছাড়া অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন পাঁচজন।

ভোটের লড়াইয়ে জেতার জন্য জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রার্থীরা। ২৪ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে এই প্রচারণা।

গাজীপুর সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে এবার মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন।