মৌলভীবাজারে রাস্তা ভেঙে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বন্যায় রাস্তা ভেঙে মৌলভীবাজারের চাতলাপুর বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০ দিন ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

বিকুল চক্রবর্তী মৌলভীবাজার  প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2018, 04:48 AM
Updated : 22 June 2018, 04:48 AM

এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

চাতলাপুর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানান, গত ১২ জুন সঞ্জবপুর থেকে চাতলাপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রাস্তা চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেলে এই বন্দর স্থবির হয়ে পড়ে।

কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে মনু নদের চার জায়গায় প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে এই বন্যা দেখা দেয়।

জামাল বলেন, তাদের বন্দর দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক যাত্রী দুই দেশে যাতায়াত করেন। পানি নেমে গেলেও রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যাত্রীদের চার কিলোমিটার হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

রাস্তাটির অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। পিচ ও খোয়ার অস্তিত্ব নেই কোথাও কোথাও। ভেঙ্গে গেছে কালভার্ট।

শ্রীমঙ্গলের আল্পনা চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বন্যায় সড়ক যোগোযাগ বন্ধ থাকায় তারা ভারতে আটকা পড়েছিলেন। ছয় দিন আটকা থাকার পর সোমবার তারা হেঁটে দেশে ফেরেন।

এদিকে যানবাহন বন্ধ থাকায় অচল হয়ে পড়েছে আমদানি-রপ্তানির সব কার্যক্রম।

চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী না হলে এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সড়কটি দ্রুত মেরামত করে দেবে বলে তিনি আশা করেন।

চাতলাপুরের আমদানি-রপ্তানিকারক সাইফুর রহমান বলেন, এই বন্দরে প্রতিদিন ১০-১৫টি পরিবহন পণ্য খালাস করত। বন্যায় কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় আর অন্তত ১৫টি স্থান ভেঙেচুরে ক্ষতবিক্ষত হওয়ায় আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

“ব্যবসা বন্ধ থাকলে আমরা লোকসানে পড়ব।”

তবে সওজ অল্প সময়ের মধ্যে এসব সমস্যা সমাধান করতে পারছে না।

মৌলভীবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, ভাঙা কালভার্টের জায়গায় একটি বেইলি সেতু হচ্ছে। আর ক্ষতবিক্ষত সড়ক পরিমাপ করা হচ্ছে।