ময়ূরের বংশ বাড়াতে গাজীপুরে সাফারি পার্কে ইনকিউবেটর

ময়ূরের বংশ বাড়াতে গাজীপুরের সাফারি পার্কে ইনকিউবেটর বসিয়ে সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

আবুল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2018, 10:10 AM
Updated : 20 June 2018, 10:11 AM

পার্কের প্রকল্প পরিচালক সামসুল আজম বলেন, “তিন মাস আগে চীন থেকে আনা একটি ইনকিউবেটর বসিয়ে সাফল্য পাওয়া গেছে। আমার জানামতে দেশে এমন ইনকিউবেটর আর কোথাও নেই।

“প্রাকৃতিক পরিবেশে অনেক ডিম নষ্ট হয়ে যায়। তাই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য এবং শতভাগ বাচ্চা ফুটিয়ে আয় বাড়ানোর জন্য এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।”

ইতোমধ্যেই ময়ূরের ডিম ফুটানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

পার্কের জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট সমীর সুর চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত তিন ধাপে মোট ১৯টি ময়ূরের বাচ্চা উৎপাদন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ১০টি, দ্বিতীয় ধাপে ৭টি আর তৃতীয় ধাপে ২টি বাচ্চা উৎপাদনের পর তারা সুস্থভাবে বেড়ে উঠছে।

পার্কের অন্য একজন সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এ পার্কে বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক ৮০টি ভারতীয় রঙিন ও সাদা ময়ূর রয়েছে।

“তারা প্রাকৃতিকভাবেও বাচ্চা ফুটাচ্ছে। এ বছর প্রাকৃতিকভাবে চারটা বাচ্চা হয়েছে। ইতঃপূর্বে এখানে অসংখ্য বাচ্চা হলেও সম্প্রতি অতিবৃষ্টি, তাপমাত্রার ঘন ঘন ওঠা-নামাসহ নানা প্রতিকূলতায় ডিম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”

ময়ূর সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ৮-১০টি করে ডিম দেয় জানিয়ে তিনি বলেন, এই ডিম ২৮ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ফুটে বাচ্চা বের হয়।

তবে শুধু ময়ূরের ডিম নয়, পার্কের অন্যান্য পাখির ডিম ফুটানোরও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

ইতোমধ্যেই উটপাখির ডিম ইনকিউবেটরে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।