উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টির কারণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে সিলেটের জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার নদী তীরবর্তী শতাধিক গ্রাম বন্যা আক্রান্ত হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে গতকালের চেয়ে ২৭ সেন্টিমিটার এবং সিলেটে ৪২ সেন্টিমিটার কমেছে। আর কুশিয়ারার পানি অমলসিদে ৩৮ সেন্টিমটার ও শেওলা পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার কমেছে।
“বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ও পাহাড়ি ঢল না আসায় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী তিন দিনে এ দুই নদীর পানি আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।”
হঠাৎ ঢলের পানি আসায় আকষ্মিক বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট জেলার অন্তত ৭০টি গ্রামের লাখো মানুষ। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। গবাদী পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ। ভারত থেকে আসা এই ঢলে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে।
জকিগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগরে বন্যা নিয়স্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। উজানে নদীর পানি দ্রুত কমলেও ভাটিতে পানি কমছে ধীরগতিতে। এ অবস্থায় দুর্ভোগের শেষ নেই বন্যাদুর্গত এলাকায়।
অনেকস্থানে বিশুদ্ধ খাবার পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে।
সিলেট জেলা প্রশাসন বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে।
সিলেট জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় এ পর্যন্ত ২৩১ মেট্রিকটন চাল ও তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্লাবিত গ্রামগুলোতে সব ধরনের সরকারি সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।