নৌকা মেরামত, মাটির চুলা, গবাদিপশুর খাবার, জ্বালানি সংগ্রহের মত কাজে জোর দিচ্ছেন তারা। এছাড়া ক্ষেতের বাদাম আগাম তুলে নিতে বলেছে কৃষি বিভাগ।
সদর উপজেলার ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের নমডাঙ্গী গ্রামের প্রহ্লাদ কুমার মণ্ডল বলেন, “পানি বাড়বে শুনে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরাও পরিবারের সবাই মিলে তৈরি হচ্ছি। নৌকা মেরামত, গবাদিপশুর খাবার সংগ্রহ—এসব করছি।”
তিনি বলেন, “মন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বন্যাকবলিত এলাকার জনপ্রতিনিধিরা সবাইকে বন্যার জন্য তৈরি হতে বলেছি। অনেকেই মাটির তৈরি বাড়তি চুলা, চলাচলের জন্য নৌকা, গবাদিপশার জন্য শুকনো খাবার সংগ্রহ করেছে।”
চরাঞ্চলের অনেক বাদামক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় অন্যদের বাদাম আগাম তুলে নিতে বলা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কান্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “বন্যাপ্রবণ এলাকার কৃষকদের আগাম প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বন্যা হলে করণীয় কী তা কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সরকারেরও সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া।
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে দিকনিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি ও ত্রাণ কর্মকতাদের বন্যা প্রস্তুতির জন্য এখন থেকেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”