বাগেরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মশিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিকালে সদর উপজেলার কাপালী বন্দর ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার কুমারীয়াজোলা গ্রামে হতাহতের এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন - বাগেরহাট সদর উপজেলার কাপালী বন্দর গ্রামের বিষ্ণুপদ মণ্ডলের স্ত্রী শম্পা রানী মণ্ডল (২৫) ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার কুমারীয়াজোলা গ্রামের রমেন্দ্রনাথ মৃধার ছেলে বিকাশ মৃধা (৫০)।
আহত সুভাস তালুকদারকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসক মশিউর পরিবারের বরাতে বলেন, কুমারীয়াজোলা গ্রামের সুভাস তার মাছের ঘেরে মাটি কাটার জন্য বিকাশ মৃধাকে শ্রমিক নিয়োগ দেন। মাটি কাটার সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ বজ্রপাতে আহত হন বিকাশ ও সুভাস।
“ঘেরমালিক সুভাসের পরিবারের সদস্যরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে হাসপাতালে আনার আগেই বিকাশের মৃত্যু হয়। আহত সুভাসকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি শঙ্কামুক্ত।”
একই সময় বজ্রপাতে মারা যান শম্পা রানী মণ্ডল।
সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগর বলেন, বৃষ্টির মধ্যে গৃহবধূ শম্পা বাড়ির পাশে মাঠে বেঁধে রাখা গরু আনতে যান। প্রায় আধা ঘণ্টা পরও শম্পা বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে মাঠে যান।
“তাকে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু চিকিৎসক শম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন। বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।”