‘যমুনা তীরে সমুদ্র সৈকতের আমেজ মেলে’

অবসরে বগুড়াবাসীর জনপ্রিয় বেড়ানোর জায়গা যমুনার হার্ট পয়েন্ট সারিয়াকান্দির কালিতলা, ধুনটের শহড়াবাড়ি, বানিয়াজান গ্রোয়েনসহ বিভিন্ন এলাকা।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2018, 09:52 AM
Updated : 18 June 2018, 10:01 AM

দূরে বেড়াতে যাওয়ার যাদের সময় বা সামর্থ্য নেই তাদের কাছে এসব এলাকা জনপ্রিয়। ঈদ উপলক্ষে ছুটিতে থাকা লোকজন দৈনিক বিকালে এসব এলাকায় ভিড় করেন।

শেরপুর উপজেলার আব্দুল হাকিম বলেন, “স্বল্প বেতনে ঢাকায় চাকরি করি। ঈদে দূরে কোথাও ঘোরর সামর্থ্য হয় না। এছাড়া ঢাকায় অনেকটা যান্ত্রিক জীবন যাপন। তাই ঈদে বাড়ি আসলেই ছুটে আসি যমুনার তীরে। খোলামেলা জায়গাটা খুব সুন্দর লাগে।”

কাহালু উপজেলা থেকে ইকবাল হোসেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন কালীতলা পয়েন্টে।

ইকবাল বলেন, “খুব সুন্দর লাগে এখানে। ঈদে সমুদ্র সৈকতে যেতে না পারলেও অনেকটা সমুদ্র সৈকতের আমেজ পাওয়া যায় এখানে।”

সরজমিনে দেখা গেছে, জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, নসিমন নিয়ে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। বসেছে নানা রকম খাবার ও খেলনা সামগ্রীর দোকান।

পরিবার-পরিজন নিয়ে শুধু হাঁটাহাঁটি নয়, অনেকেই মাদুর নিয়ে এসেছেন সঙ্গে করে। পাড়ে বিছিয়ে একসঙ্গে বসে গল্পে মশগুল হয়েছে দলে দলে। কেউ কেউ তীর থেকে একটু দূরে কাশবনেও বসেছেন। অনেকেই খাবার নিয়ে এসেছেন সঙ্গে করে। নৌকা ভাড়া করে ঘণ্টা চুক্তিতে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন কেউ কেউ।

বগুড়া শহর থেকে সপরিবার আসা তামান্না বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ঈদেও তারা বানিয়াজান গ্রোয়েনে এসেছিলেন।

“বিশেষ করে বিকালটা খুব সুন্দর লাগে। নদীর তীরে বসে শীতল হাওয়ায় অনুভবটা অন্যরকম। এ সময় নদীতে নৌকায় ঘুরতেও ভয় লাগে না।”

শহড়াবাড়ি স্পারে মিষ্টির পসরা সাজিয়েছেন করিম নামে এক তরুণ।

করিম বলেন, “অনেকেই দূর থেকে আসে। তারা এখানে এসে কিছু খেতে চায়। আমি বাদাম, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির দোকান বসাই। সঙ্গে বরফ দিয়ে মিনারেল ওয়াটার ঠাণ্ড করে বেচি। বছরে তিন-চারটা দিন অনেক বিক্রি হয়।”