সৈয়দপুর থানার ওসি মো. শাহজাহান পাশা জানান, উপজেলার ধলাগাছ মতির মোড় এলাকার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে রোববার রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ রাতে ১০ জনের মৃত্যুর খবর জানালেও সকালে নয়জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন।
নিহতরা হলেন- সৈয়দপুর উপজেলার চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের নতিবাড়ী গ্রামের নতিবাড়ী কাঞ্চনপাড়ার রুবেল আহমেদ, রাব্বী হোসেন, সাজেদুল ইসলাম,খায়রুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের আরাজী দৌলুয়াপাড়ার ডালিম চন্দ্র রায়, ময়নুল হক, শামীম হোসেন, ধোপাডাঙ্গা পাড়ার বিধান চন্দ্র রায় ও মিজানুর রহমান। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে বলে পুলিশ জানায়।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, হতাহতের বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের নতিবাড়ি এলাকায়। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি শাহজাহান বলেন, দিনাজপুরের একটি পিকনিক স্পট থেকে কয়েকজন যুবক একটি পিকআপ ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একটি বাস পেছন দিক থেকে পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দিলে পিকআপটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই আটজনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে আটজনের লাশ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ধলাগাছ মতির মোড়ের সুরতুজ্জামান জানান, ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে পিকআপটি সৈয়দপুর বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে দ্রুতগতিতে নীলফামারী যাচ্ছিল। ওই ছোট পিকআপে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে ডেক সেট বাজিয়ে হৈ-হুল্লোড় করছিল যাত্রীরা।
তিনি বলেন, “ধলাগাছ মতির মোড়ে ২০ গজে আসতেই বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখি ওই পিকআপের সবাই সড়কের ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।”
এদিকে দুর্ঘটনার পর রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে প্রায় চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে বলে পুলিশ সুপার আশরাফ জানান।
তিনি বলেন, পিকআপটি উদ্ধার করে থানায় থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে বাসটি আটক করা যায়নি। বাস ও চালককে আটকের জন্য ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।