বারইকোনা এলাকায় মনু নদীর ভাঙনের ফলে শনিবার রাত থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হতে থাকে। দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। এছাড়া জেলা সদরের তিনটি ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান জানান, জেলা শহরের সঙ্গে সিলেটসহ মৌলভীবাজারের চারটি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
“গত দুইদিন ধরে শহর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝঁকিপূর্ণ স্থানে বালুর বস্তা দিয়ে শহরের প্রধান বিপণন এলাকা রক্ষা হলেও শনিবার মধ্য রাতে বারইকোনায় ভাঙনের ফলে তলিয়ে যায় শহর ও শহরতলীর বিশাল অংশ।”
বাড়িঘরসহ দুই শতাধিক দোকানে পানি প্রবেশ করেছে। অনেকে বাড়িঘড় ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে উঠেছেন।
সদর উপজেলার চারটি সরকারি খাদ্য গুদামে পানি প্রবেশ করায় বিপুল পরিমাণ চাল ভিজে গেছে।
“এতে সাড়ে চারশ থেকে ছয়শ টন চাল ভিজে গেছে। বাকি চাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
গত কয়েকদিন থেকে মনু, ধলাই ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে মৌলভীবাজারের অন্তত দেড়শ গ্রাম প্লাবিত হয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার সড়ক যোগাযোগ।
কমলগঞ্জ উপজেলা শুক্রবার পাঁচজন বন্যার পানিতে ভেসে যায়। পরদিন তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে।