এক সপ্তাহ আগে লালমনি এক্সপ্রেসে এই ইরানি কোচগুলো যুক্ত করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে এ কোচগুলো লালমনিরহাট রেলওয়ে যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের গ্যারেজে পাঠানো হয়।
গত ৬ জুন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে যাত্রী নিয়ে নতুন এই ১৪টি কোচ নিয়ে যাত্রা শুরু করে লারমনি এক্সপ্রেস।
কোচগুলোতে রয়েছে এসি বাথ একটি, এসি চেয়ার কোচ একটি, খাবার গাড়ি একটি, সাধারণ চেয়ার নয়টি ও মালবাহী কোচ দুইটি। আসন রয়েছে ৬৭২টি।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ঈদের অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে লালমনি এক্সপ্রেসের সাদা ইরানি কোচের ‘এলাম চেইন পাইপ’ ও ‘কয়েল স্প্রিং ক্যাম্বর’ বিকল হয়ে গেছে।
“ফলে ফ্লোরের নিচের ফ্রেমে লেগে যায় স্প্রিং। এতে বিকট শব্দ হয়; যা যাত্রীদের জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত লোডের ফলে ট্রেন আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”
তিনি বলেন, ইরানি এই ১৪টি কোচে আসন সংখ্যা ৬৭২ হলেও ঈদে ঘরমুখো মানুষের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অতিরিক্ত যাত্রী উঠায় লোড নিতে পারছে না কোচগুলো। কোচগুলোকে ড্যামেজ ঘোষণা করে মেরামতের জন্য গ্যারেজে পাঠানো হয়েছে।
“পরে বিকল্প হিসেবে পুরাতন কোচ নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে ফের ঈদযাত্রা শুরু করে লালমনি এক্সপ্রেস।”
প্রকৌশলী রবিউল জানান, কোচগুলো দ্রুত মেরামত করতে সৈয়দপুর থেকে কারিগর আনা হচ্ছে। কারিগররা এলে মেরামত কাজ শুরু হবে। ঈদের ফিরতি যাত্রায় ইরানি কোচ মেরামত করে আবার সংযোজন করা হবে।