ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির চাপ আছে, তবে যানজট কম

ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। তবে যানজট অন্যবারের মতো নেই বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।  

গাজীপুর প্রতিনিধিটাঙ্গাইল ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2018, 04:33 AM
Updated : 15 June 2018, 11:38 AM

ঈদের আগের দিন শুক্রবার মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার অংশে গাড়ির চাপ রয়েছে; ধীর গতিতে চলছে গাড়ি।

তবে কোনাবাড়ি, চন্দ্রা ও কালিয়াকৈরসহ এলাকায় থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে; এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চার লেইনের নির্মাণ কাজ চলছে। পাশাপাশি মূল সড়কে খানাখন্দ আর বড়-বড় গর্ত থাকায় এ বছরও ঈদ যাত্রায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল যানবাহনের চালকদের। 

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, “কিন্তু এ বছর মহাসড়কে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা থাকায় আর চালকরা নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর ফলে এখন পর্যন্ত কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি।”

পাশাপাশি ব্যস্ততম এই মহাসড়কের টাঙ্গাইলের সীমানায় যানজট মুক্ত রাখতে প্রায় এক হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

এ সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “প্রতিবছর ঈদের সময় এলেঙ্গা থেকে কালিয়াকৈর আসতে প্রায় সারাদিন লেগে যায়: আর এ বছর এক ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় লেগেছে।” 
বিনিময় পরিবহন বাস চালকের সহকারী নান্টু মিয়া বলেন, “মনে করছিলাম যে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এবারও যানজট লাইগা থাকবো। আল্লায় বাচাইছে, রাইত ৩টায় মহাখালী থেইকা রওনা দিছি; আর ওহন ভোর সাড়ে ৫টায় এলেঙ্গা আইলাম।”

প্রান্তিক পরিবহনের চালক মো. মনি সরকার বলেন, “আগের বছর ঈদের সময় টাঙ্গাইল থেইকা এলেঙ্গা আইতে ২/৩ ঘণ্টা লাগছে। আর এবার ১৫ মিনিটের বেশি লাগে নাই।”

সালনা হাইওয়ে পুলিশের ওসি বাসুদেব সিনহা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হয়ে যাওয়ায় মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। মহাসড়কের ধারণক্ষমতার চেয়ে যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যান চলাচল ধীরগতি হয়ে পড়ে।

“এর উপর রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় কোনাবাড়ি, চন্দ্রা ও কালিয়াকৈরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় থেমে থেমে চলছে গাড়ি, দেখা দিয়েছে থেমে থেমে যানজট। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা।”

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় ধীরগতিতে চলছে গাড়ি।

ঢাকামুখী গাড়ির চাপ কম থাকায় ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে চান্দনা-চৌরাস্তা পর্যন্ত যানজট কমাতে করতে উত্তরবঙ্গগামী যানবহনের জন্য উভয় লেন ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঘরমুখো মানুষ নিয়ে গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো পথে বিভিন্ন স্থানে যানজটে আটকে পড়ে ফিরতে না পারায় গাজীপুরে বাস সংকট দেখা দিয়েছে।

চান্দনা চৌরাস্তা ও চন্দ্রা এলাকায় স্টেশনগুলোতে বিপুল সংখ্যক ঘরমুখো মানুষকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখ গেছে।পর্যাপ্ত গাড়ি না পেয়ে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, লেগুনা ও বাসের ছাদে করে নিজেদের গন্তব্যে রওনা হয়েছেন যাত্রীরা।